রাজস্বে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি, তবুও ঘাটতি ২ হাজার কোটি টাকা


বাংলাদেশের কণ্ঠ ডেস্ক প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২৬, ২০২৩, ৪:১৮ অপরাহ্ন /
রাজস্বে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি, তবুও ঘাটতি ২ হাজার কোটি টাকা

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাসে রেকর্ড ১৫.৩৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)। জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটে ২১.৫১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি হলেও ঘাটতি থেকে মুক্তি মেলেনি। জুলাই মাস শেষে লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। ওই মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২২ হাজার ৪২৭ কোটি ৫ লাখ টাকা। বিপরীতে আদায় হয়েছে ২০ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

এনবিআরের পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, জুলাই মাসে জুলাইয়ে মূল্য সংযোজন করে বা ভ্যাট প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১. ৫১ শতাংশ। জুলাইয়ে ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ৭ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা।

গত অর্থবছরে আমদানি ও রপ্তানি শুল্ক আদায়ে মন্দা ভাব থাকলেও, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে ১৩.৭০ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সাত হাজার ১৬২ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয় সাত হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা।

অপেক্ষাকৃত কম রাজস্ব আদায় হয়েছে আয়কর খাত থেকে। এ খাতে ৯.৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ৭ হাজার ২৮১ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে জুলাই আদায় হয়েছে ৫ হাজার ২১৩ কোটি টাকা।

এই তিন খাত মিলিয়ে জুলাইয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ৯১.৬৭ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি। ২০২২-২৩ এর জুলাইয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ছিল ৮৬.৫৭ শতাংশ।

সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ভ্যাট বিভাগে ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে মোট ভ্যাট আহরণ হয় ১ লাখ ২৫ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার ৯২ শতাংশ অর্জন সক্ষম ভ্যাট আদায়ে গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১১ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা পিছিয়ে ছিল।

এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে এনবিআরের আমদানি-রপ্তানি খাত অর্থাৎ কাস্টমস বিভাগ থেকে ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৯১ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি ২.৫৬ শতাংশ।

অন্যদিকে আয়কর খাত থেকে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ২২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি ৯.৬২ শতাংশ।

চলতি অর্থবছর এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে মূসক থেকে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা, আয়কর থেকে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ও আমদানি-রপ্তানি শুল্ক থেকে ১ লাখ ১৬ হাজার ১০০কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।